রিকশাচালক বাবার ২ ছেলে বিসিএস ক্যাডার, ১ ছেলে এমবিবিএস

জীবনে ছিল দুর্বিষহ কষ্ট, তবুও সন্তানদের পড়ালেখা থামতে দেননি বাগেরহাটের রিকশাচালক বাবা আব্দুল খালেক শেখ। শেষ পর্যন্ত সাফল্যের দেখাও পেয়েছেন এই সংগ্রামী বাবা।
৪০ বছর বয়সে বিয়ে করা খালেকের ঘরে ছিল তিন ছেলে সন্তান। প্রথম থেকেই স্বপ্ন ছিল ছেলেদের বড় কিছু বানাবেন। যার জন্য করেছেন যুদ্ধ। যখন একা সামাল দিতে পারেননি, তখন পাশে দাঁড়িয়েছেন স্ত্রী।
স্ত্রী ফাতেমাও ম্যাচ ফ্যাক্টরিতে কাজ করে সাহায্য করেছেন খালেককে। এছাড়াও বাবা-মার কষ্ট লাঘব করতে টিউশন করিয়ে পড়ার খরচ যুগিয়েছে। ছেলেদের সাফল্যে এই বাবা বলেন,
নিজে শিক্ষিত হতে না পারলেও ছেলেদের শিক্ষিত করতে প্রাণপণ চেষ্টা করেছি। তবে আমার একার চেষ্টা নয়, ছেলেদের প্রবল আগ্রহ আর মেধার কারনে তারা শিক্ষিত হতে পেরেছে।
তিনি জানান, বড় ছেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে পড়ে ৩৪তম বিসিএস দিয়ে গাইবান্ধা জেলায় চাকরি করছেন। মেজো ছেলে সরকারি কলেজ থেকে পড়ে ৩৬তম বিসিএস পাস করে ঢাকায় আছেন।
আর ছোট ছেলে খুলনা মেডিকেল থেকে এমবিবিএস শেষ করে ইন্টার্ন করছেন। ছেলেদের আকাশচুম্বী সাফল্যের পরেও এখনও রিক্সা চালান এই গর্বিত বাবা।
তবে, ইতিমধ্যে রিকশা চালানো ছেড়ে দিতে বাবাকে চাপ দিচ্ছে তার সন্তানেরা। তাই এবার হয়তো একটু শান্তির জীবন-ই বেছে নেবেন ৮১ বছরের এই বৃদ্ধ বাবা।