বাংলাদেশের একজন জামাই আল জাজিরার স’ঙ্গে যুক্ত

কাতারভিত্তিক সংবাদ মাধ্যম আল জাজিরা বাংলাদেশের উন্নয়ন চোখে দেখে না মন্তব্য করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন বলেছেন, আপনারা জা’নেন যে, আল জাজিরা বাংলাদেশের ভালো জিনিস দে’খতে পারে না।
আল জাজিরার কাজই হচ্ছে মুসলিম দেশগুলোর দোষ খুঁজে বের করা। সেখানে অনেকে ফান্ডিং করে। ব্রিটিশরা নিয়ন্ত্রণ করে এটি। আমাদের একজন জামাই তাদের স’ঙ্গে সম্পৃক্ত হয়েছেন।
যেটি খুবই দু:খজনক, যারা সবসময়ই ভালো জিনিসের বিপক্ষে আছেন। বাংলাদেশ নিয়ে আল জাজিরার সাম্প্রতিক প্র’তিবেদন নিয়ে বুধবার ঢাকায় গণমাধ্যমের স’ঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।
আল জাজিরার স’ঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ হয়েছে কিনা এমন প্রশ্নে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, না আম’রা সরাসরি যোগাযোগ করি নাই। আম’রা এই প্র’তিবেদনের নি’ন্দা জা’নিয়েছি।
বাংলাদেশে আল জাজিরার সম্প্র’চার ব’ন্ধের কোনো প’রিকল্পনা আছে কিনা এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, আল জাজিরা বলেছে আরও কয়েকটি প্র’তিবেদন দেখাবে। তাদের সম্প্র’চার ব’ন্ধ করার আপাতত কোনো প’রিকল্পনা নাই।
কারণ আম’রা ব’ন্ধ করে খুব একটা লাভ নাই, পৃথিবী এখন উন্মু’ক্ত। আম’রা আশা করব, আলজাজিরা আরও দায়িত্বশীল হবে। অনেকে ধারণা করছেন, অনেকে পয়সা দিয়ে আলজাজিরাকে দিয়ে এই প্র’তিবেদন করিয়েছে।
আল জাজিরা তার গ্রহণযোগ্যতা ও বিশ্বা’সযোগ্যতা হারিয়ে ফে’লে ছে মন্তব্য করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমেরিকায় আলজাজিরা দেখা যায় না। অতিরি’ক্ত টাকা দিয়ে দে’খতে হয়।
আলজাজিরার প্র’তিবেদন পেইড নিউজ কিনা এমন প্রশ্নে মন্ত্রী বলেন, সে রকমই তো মনে হচ্ছে। এ কারণে এটি বিশ্বা’সযোগ্যতা হারিয়েছে। আল জাজিরার বি’রুদ্ধে আ’ইনগত ব্যব’স্থা নেওয়া হবে কিনা এমন প্রশ্নে মন্ত্রী বলেন, আম’রা আ’ইনি ব্যব’স্থা নেওয়ার চেষ্টা করব।
প্র’তিবেদনে তথ্যগত ত্রুটি রয়েছে। এর ব্যাখ্যায় তিনি বলেন, ২০০৪ সালে গ্রেনেড হা’মলা র সময় আপনারা দেখেছেন, শেখ হাসিনার বডিগা’র্ড কারা ছিল? এই সুরঞ্জিত (সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত), এই সাবের হোসেন (সাবের হোসেন চৌধুরী), এই মায়া (মোফাজ্জল হোসেন মায়া) ভাই এরাই ছিলে বডিগা’র্ড।
কোনো রকমের পয়সা দিয়ে বডিগা’র্ড শেখ হাসিনা কখনও নিতেন না। আর বডিগা’র্ডের সিস্টেম তো স’ম্প্রতি বাংলাদেশে এসেছে। কিন্তু ওরা (আল জাজিরা) বড় করে দিয়ে দিল, দুই ছেলে ওরা বডিগা’র্ড। প্র’তিবেদনে তথ্যগত যে ভুল আছে সেটির বি’রুদ্ধে নিশ্চয়ই আম’রা লিগ্যাল অ্যাকশনে যেতে পারি।