হাসিনা বেগম। জন্ম-প্রতিব;ন্ধী দুই সন্তান ও অসুস্থ স্বামী রফিকুল ইসলামকে নিয়ে তার সংসার। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার অরুয়াইল ইউনিয়নের প্রত্যন্ত অঞ্চল রাজাপুর গ্রামের চকবাজারে চিতই পিঠা বানিয়ে বিক্রয় করেন।
পরিবারের সদস্যদের মুখে খাবার তুলে দিতে পিঠা বিক্রি করা ছাড়া উপায় নেই হাসিনা বেগমের।অসুস্থ স্বামী ও দুই প্রতিব;ন্ধী সন্তান নিয়ে দুর্বিষহ জীবন তার। স্বামী-সন্তানদের মুখে দুবেলা দুমুঠো খাবার তুলে দেয়া আর তাদের দেখাশোনা
করতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছেন।সরকারি সহায়তার আশায় বারবার জনপ্রতিনিধি আর প্রশাসনের কাছে ঘুরে দুই সন্তানের জন্য দুটি প্রতিব;ন্ধী ভাতার কার্ডের ব্যবস্থা করতে পারলেও আর কোনো সহায়তা জোটেনি তাদের কপালে।
প্রতিব;ন্ধী এখনই বাজি ধরা শুরু করুন! আপনি পরাজিত হলে 1xBet ফেরত দেবে! জমা করুন এবং একটি আইফোন 11 প্রো ম্যাক্স জিতে নিন! 21 দিনেই হারানো চুল ফিরে পান – ঘুমানোর আগে এটি ব্যবহার করুন বাংলাদেশের এক মহিলা এটি ব্যবহারের পর 32 কেজি কমিয়েছেন পরিবারটিকে সহায়তার আশ্বাস দিয়েছে সরাইল উপজেলা সমাজসেবা অফিস।
হাসিনার ছেলে সজল মিয়া (১৮) ও মেয়ে রচনা দুজনই জন্ম থেকে শারীরিক ও বাকপ্রতিব;ন্ধী। দুজনের একজনও চলাফেরা করতে পারে না। এমনকি উঠতে ও বসতেও পারে না। সারাদিন বিছানায় পড়ে থাকে। মলমূত্র সবই হয় বিছানায়। নিজের হাতে খাবারও খেতে পারে না। হাসিনা বেগমই তিনবেলা নিজ হাতে খাবার খাইয়ে দেন।
অসুস্থ স্বামী ও প্রতিব;ন্ধী ছেলেমেয়েকে নিয়ে বিপাকে পড়েছেন হাসিনা বেগম। স্বামী অসুস্থ হওয়ায় পরিবারে কর্মজীবী কেউ নেই। পরিবারটির নিজস্ব কোনো জমিও নেই।
সংসারের আয়ের কোনো পথ না থাকায় বসবাসের ঘরটিও বসবাসের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। বাজারে পিঠা বিক্রি করে যা পান তা দিয়েই কোনোরকম চলে তাদের সংসার। খাবারের পানির জন্য অনেক কষ্ট করেন। এক বছর আগে আশুগঞ্জের
এক ব্যক্তি একটি টিউবওয়েল দিয়েছিলেন। কিন্তু দুর্ভাগ্য টিউবওয়েলটির পানি গোমূত্রের মতো লাল ও গাঢ় হওয়ায় পান করা যায় না। প্রায় আধা কিলোমিটার দূরে মেঘনা নদী থেকে প্রতিদিন ৮-১০ কলসি পানি এনে গোসল করাতে হয় দুই প্রতিব;ন্ধী সন্তানকে।
হাসিনা বেগম জাগো নিউজকে বলেন, ’অভাবের সংসারের ঘানি টানতে টানতে নিজেই অসুস্থ হয়ে যাচ্ছি। শত কষ্টে দিন কাটলেও কপালে সরকারি সহায়তা তো দূরের কথা, খোঁজখবর নেয়নি কেউ। পিঠা বিক্রি করে যা পাই, তা দিয়েই চলতে হয়। এছাড়া কি আর করার আছে!’
রাজাপুর গ্রামের ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) সদস্য (মেম্বার) জিন্নাত আলী বলেন, ‘হাসিনা বেগমের দুই স;ন্তানই প্রতিব;ন্ধী। স্বামী রফিক নিজেও অসুস্থ। রোজগার করতে পারেন না। হাসিনা বেগম চকবাজারে পিঠা বিক্রি করে সংসার চালান। তবে তাদের দুই প্রতিব;ন্ধী সন্তানেরই ভাতার কার্ড হয়েছে।’
এ বিষয়ে সরাইল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আরিফুল হক মৃদুল বলেন, যেহেতু প্রতিব;ন্ধী দুই সন্তান প্রতিব;ন্ধী ভাতা পায়, সেজন্য আর কোনো সহায়তা করার সুযোগ উপজেলা প্রশাসনের নেই।