একই পরিবারের বাবা-মা এবং ছেলের ঝু’লন্ত দে’হ উ’দ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য জোকার মণ্ডলপাড়ায়। বুধবার সকালে ওই পরিবারের ৩ জনের দে’হ উ’দ্ধার হয় তাঁদের বাড়িতেই। পু’লিশ সূত্রে খবর, বছর পঞ্চাশের চন্দ্রব্রত মণ্ডল বিধানসভার গ্রুপ ডি কর্মী।
স্ত্রী মায়ারানি মণ্ডল গৃহবধূ (৪৫)। ছেলে সুপ্রিয় মণ্ডল ইঞ্জিনিয়ার (২৮)। ভিন রাজ্যে কাজ করতেন। সম্প্রতি তিনি কাজ ছেড়ে কলকাতায় চলে আসেন। ৩ জনের দে’হ উ’দ্ধার হলেও, মৃ’ত্যুর কারণ এখনও স্পষ্ট নয়। ঘটনার ত’দন্তে নেমেছে ঠাকুরপুকুর থানা।
পু’লিশ সূত্রে খবর, এ দিন সকালে পরিবারের কারও সাড়াশব্দ পাওয়া যায়নি। বেলা হলেও ঘর থেকে কাউকে বেরতে না দেখে সন্দে’হ হয় প্রতিবেশীদের। তাঁরাই ঠাকুরপুকুর থানায় খবর দেন। পু’লিশ এসে ছাদের পাশের একটি ঘর থেকে তাঁদের ঝু’লন্ত দে’হ উ’দ্ধার করে।
বাবা-মা সিলিং ফ্যানের স’ঙ্গে ঝুলছিলেন বলে জানা যাচ্ছে। ছেলে ওই ঘরের একটি বিমের স’ঙ্গে ঝুলছিলেন। কী কারণে এমন ঘটনা ঘটল, তা বুঝে উঠতে পারছেন না প্রতিবেশীরাও। পরিবারে আর্থিক অনটন ছিল বলে জানাচ্ছেন তাঁরা।
পু’লিশ দে’হ উ’দ্ধার করে ময়নাত’দন্তের জন্য পাঠিয়েছে। লালবাজারের হোমিসাইড শাখাও ঘটনাস্থল থেকে নমুনা সংগ্রহ করেছে। আ’ত্মহ’ত্যার ঘটনা, না কি এর নেপথ্যে অন্য কিছু রয়েছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। প্রতিবেশীরা জানাচ্ছেন, ওই পরিবারের স’ঙ্গে সকলেরই সুসম্পর্ক ছিল। বিধানসভায় কাজ করতেন চন্দ্রব্রত। ছেলে ইঞ্জিনিয়ারিং পাস করে ভিন্ রাজ্যে কাজে গিয়েছিলেন।
কিন্তু বাবা চাইতেন, ছেলে যেন কলকাতায় ফিরে আসেন। বাবার কথামতো তিনি এ রাজ্যে ফিরেও আসেন। কিন্তু তেমন কিছু করতেন না। পাখির শখ ছিল সুপ্রিয়র। কিছু দিন আগে পাখিগু’লি পাড়ায় অন্যদের দিয়েও দেন তিনি। প্রশ্ন উঠছে, তা হলে কি পরিকল্পনা করেই ওই পরিবার আ’ত্মহ’ত্যা করেছে?