প্র’সবের ৮ ঘণ্টা আগে অফিসে বসে কাজ করেছেন জয়পুরের মেয়র

কাজই জীবনের মূল মন্ত্র। কর্মের মাঝেই ঈশ্বর রয়েছেন। এই কথাগু’লো যেন আরও একবার সত্যি প্রমাণ করে দিলেন জয়পুর নগর নিগমের মেয়র ড. সৌম্যা গু’র্জর (Saumya Gurjar)। এককথায় বলতে গেলে জনসেবায় নিয়োজিত এক প্রাণ।
প্র’সব যন্ত্রণা, অন্তঃস’ত্ত্বাকালীন নানা সমস্যার মাঝেও নিজের এলাকার জন্য সমানে কাজ করে গিয়েছেন এই মানুষটি। এমনকি সন্তান-প্র’সবের ঘণ্টাখানেক আগেও নগর নিগমের অফিসে বসে মিটিং করেছেন তিনি।
এর পর রাতে বাড়ি ফিরে হাসপাতালে ভর্তি হন। আর ভোর ৫টা ১৪ মিনিট নাগাদ এক পুত্র সন্তানের জন্ম দেন। সম্প্রতি এক ট্যুইটে সৌম্যা জানান, ওয়ার্ক ইজ ওয়ার’শিপ ! তিনি লেখেন, বুধবার রাত পর্যন্তও নগর নিগমের মিটিংয়ে উপস্থিত ছিলাম।
প্র’সব যন্ত্রণা নিয়ে সেদিনই রাত সাড়ে ১২টা নাগাদ হাসপাতালে ভর্তি হই। ঈশ্বরের আশীর্বাদে বৃহস্পতিবার সকালে এক পুত্রসন্তানের জন্ম হয়। ইতিমধ্যেই ব্যাপকমাত্রায় ভাইরাল হয়েছে ট্যুইটটি।
সৌম্যাকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন নগর নিগমের প্রশাসনিক আধিকারিকরা। মেয়র মা ও ছেলের সুস্থতা কামনা করে পৌর এলাকার লোকজনও ট্যুইট করেছেন। একজন মহিলার, বিশেষ করে তরুণ প্রজন্মের এই লড়াকু মানসিকতাকে কুর্নিশ জানিয়েছেন সকলে।
দিনকয়েক আগে পর্যন্তও সমান ভাবে সক্রিয় দেখা যায় নবনির্বাচিত মেয়রকে। ৭ ফেব্রুয়ারি রাজস্থানের রাজ্য বিজেপি কার্যালয়ে আসেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃ’তি ইরানি (Smriti Irani)। সেখানেও উপস্থিত ছিলেন সৌম্যা।
IANS-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানান, কাজের স’ঙ্গে কোনও কিছু আপোস করা যায় না। যতক্ষণ শরীর টানছে, কাজ চালিয়ে যাব’েন তিনি। তাঁর কথায়, ফুল টার্ম প্রেগনেন্সির সময়s কাজ করাটা যথেষ্ট চ্যালেঞ্জিং।
তবে উপভোগ্যও। আসলে নতুন নতুন কাজের মধ্য দিয়ে এই সমস্ত ব্যথা ভুলে যাই! এমনকি, ডেলিভারির ডেট জানার পরও সমানে কাজ করে যান সৌম্যা। ৩০ জানুয়ারি আয়ুষ্মান ভারত মহাত্মা গান্ধী রাজস্থান হেল্থ ইনসিওরেন্স স্কিম উদ্বোধনের সময়ে উপস্থিত ছিলেন তিনি।
নগর নিগমের বাজেটও পেশ করেন তিনি। উল্লেখ্য, অন্তঃস’ত্ত্বা থাকাকালীন জয়পুর মিউনিসিপাল কর্পোরেশনের নির্বাচনী প্রচারেও অংশ নেন সৌম্যা গু’র্জর। এইরকম শারীরিক পরিস্থিতির মাঝেই দিনের পর দিন এলাকায় এলাকায় প্রচার চালিয়ে যান। শেষমেশ সাফল্য আসে!