অনেক কষ্টে নিজের দুর্বলতা নিয়ে প্রকাশ্যে মুখ খুললেন অভিনেত্রী রচনা ব্যানার্জি

বাংলার দিদি নং ১ তিনি। ৪৬ বছর বয়সেও সে একইরকম সুন্দরী। তাকে দেখে বয়স বোঝার উপায় নেই কোনো। তিনি হলেন রচনা ব্যানার্জি। নিজের অ’ভিনয় দক্ষতার মাধ্যমে একসময় তিনি টলিউডে রাজত্ব করেছিলেন।
বলিউডেও রেখেছিলেন নিজের অ’ভিনয় দক্ষতার ছাপ। ২০০০সাল থেকে মিঠুন, চিরঞ্জিত, প্রসেনজিৎ-এর সাথে জুটি বেঁধে দর্শকদের উপহার দিয়েছেন একের পর এক হিট ছবি। টলিউড থেকে বলিউড সব জায়গাতেই ছিল তার জয়জয়কার।
বলিউডে অমিতাভ বচ্চনের সাথেও তাকে অ’ভিনয় করতে দেখা গেছে। শুধু টলিউড বলিউডেই নয় তিনি তামিল, তেলেগু’ সিনেমাতেও অ’ভিনয় করে দর্শকদের মন জয় করে নিয়েছেন তিনি।
এরকমই এক জনপ্রিয় অ’ভিনেত্রী হঠাৎ করেই নিজেকে সরিয়ে নিলেন বড় পর্দার সামনে থেকে। ২০১০ সালে যখন তিনি খ্যাতির শিখরে ছিলেন তখনই হঠাৎ করে তিনি চলে যান সকলের চোখের আড়ালে।
তবে তিনি এক সংবাদমাধ্যমকে জানান নিজের ছেলেকে সময় দেওয়ার জন্যই সরিয়ে নিয়েছেন নিজেকে। দক্ষিণ কোলকাতায় ছেলে প্রমীলকে নিয়ে থাকেন তিনি রয়েছেন পরিবারের অন্য সদস্যরাও।
তবে তিনি এখন বাংলার প্রতিটি ঘরের দিদি নং1 হয়ে উঠেছেন। প্রতিদিন বিকেল ৫ টায় তাকে দেখা যায় বাংলার প্রতিটা ঘরের ড্রয়িং রুমে। তবে টানা দশ বছর ধরে এই শো করতে করতে তিনি তো হাঁপিয়ে যাননি বরং পেয়েছেন বেঁচে থাকার অক্সিজেন।
তিনি স্যোশাল মিডিয়াতেও যথেষ্ট অ্যাক্টিভ।কিছুদিন আগেই কোভ্যাক্সিন নিয়েছেন তিনি আর সেই মুহুর্তটা লেন্সব’ন্দি করেছিলেন তিনি। গু’ড বাই কোভিড ১৯ ব্যানারের সামনে ছবি তুলেছিলেন তিনি। তবে ভ্যাক্সিন নেওয়ার পর একটু জ্বর হলেও এখন সুস্থ আছেন তিনি। করো’না আবহে কিছুদিন ছুটি নিলেও তারপর স্বমহিমায় ফিরেছিলেন আবার দিদি নং ১-এর সেটে।
৪৬ বছরে পা দিলেও অ’ভিনেত্রীর গ্লামা’র কমেনি এক ফোঁটাও। সবসময় স্ট্রিক্ট ডায়েটে থেকে পেঁপের রস, উচ্ছের রস খেলেও মাঝে মাঝে ডায়েটে চিট করে বাড়ির খাওয়ার খান তিনি। তবে অনেকেই বলেন অ’ভিনেত্রীর সবচেয়ে বড় দুর্বলতা তার ছেলে প্রমীল। তবে সবচেয়ে চমকপ্রদ তথ্য হল অ’ভিনেত্রীর সবচেয়ে বড় দুর্বলতা হলো মিষ্টি। অ’ভিনেত্রী মিষ্টি খেতে খুব ভালোবাসেন। তিনি জন্ম’দিন উপলক্ষে একটি ছবি পোস্ট করেন যেখানে দেখা যাচ্ছে তিনি বসে আছেন এবং তার সামনের প্লেটে অনেকরকম মিষ্টি সাজানো। তিনি ক্যাপশনে লেখেন ‘সুইট! মাই ওয়ান অ্যান্ড ওনলি উইকপয়েন্ট’ যা দেখে ‘হতবাক হয়েছেন নেটিজেনরা।