সালটা ১৯৯৩, দিনটা ৫ এপ্রিল। মুম্বইয়ের ৫ তলা বিল্ডিং থেকে পড়ে মা’রা যান অ’ভিনেত্রী দিব্যা ভারতী। তখন দিব্যা মাত্র ১৯ বছরের। এত অল্প বয়সে প্রতিভাবান অ’ভিনেত্রীর চলে যাওয়া কেউই মেনে নিতে পারেননি।
দিব্যার মৃ’ত্যুর পর কে’টে গিয়েছে ২৮টা বছর দিব্যার মৃ’ত্যু আ’ত্মহ’ত্যা, নাকি খু’ন, না নেহাতই দু’র্ঘটনা! সে রহস্য আজও রহস্যই রয়ে গিয়েছে।
আজ ৫ই এপ্রিল, সোমবার (২০২১) দিব্যার ২৮তম মৃ’ত্যু বার্ষিকী। তাঁর প্রত্যেক মৃ’ত্যু বার্ষিকীতে নতুন করে মনে করিয়ে দেয় ১৯৯৩-এর সেই আকষ্মিক ঘটনার কথা। বারবার দিব্যার অনুরাগীদের মনে মৃ’ত্যু নিয়ে ফিরে আসে নানান প্রশ্ন।
অনেকেই মনে করেন, ওই দিব্যার মৃ’ত্যু ছিল নেহাতই দু’র্ঘটনা। কেউ দাবি করেছিলেন দিব্যা খু’ন হয়েছিলেন, যাতে হাত ছিল তাঁর স্বামী সাজিদ নাদিওয়াদওয়ালার, যদিও এটা প্রমাণিত নয়।
অনেকে আবার বলেন মায়ের স’ঙ্গে মনোমালিন্যের জন্যই আ’ত্মহ’ত্যা করেছিলেন দিব্যা। তবে সত্যটা আজও জানা যায়নি। তবে তাঁর ডেথ সার্টিফিকে’টে অস্বাভাবিক মৃ’ত্যুর কথাই বলা হয়েছে।
স্টারডাস্ট ম্যাগাজিনের অন্যতম জনপ্রিয় লেখক ট্রয় রিবেইরো দিব্যা’র মৃ’ত্যুর উপর একটি দীর্ঘ নিবন্ধ লিখেছিলেন। শিরেনাম ছিল ‘দ্য ট্র্যাজেডি দ্যা নেশন অব নেশন!’ বেশকয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শী এবং দিব্যার বন্ধুকে জিজ্ঞাসাবাদ করে দিব্যার মৃ’ত্যু নিয়ে ওই প্রতিবেদনটি লিখেছিলেন রিবেইরো।
রিবেইরো অবশ্য নিজেই প্রত্যক্ষদর্শী ছিলেন। তিনি লেখেন, “দুর্ভাগ্যজনক ঘটনার খবর যাঁরা প্রথম পেয়েছিলেন আমি তাঁদের মধ্যেই ছিলাম। খবরটা সত্যি কিনা জানতে আমি হাসপাতালে দৌড়েছিলাম এবং যদিও খবরটা সঠিক ছিল। তাও যেন বিশ্বা’স করতে পারছিলাম না।”
রিবেইরো লিখেছেন, “আমি যখন দিব্যার দে’হ দেখলাম তখনই বুঝেছিলাম বাস্তব ঘটনা থেকে পালাতে পারব না। হাসপাতাল ক’র্তৃপক্ষের রিপোর্টে স্পষ্টভাবে জানানো হয়েছিল যে মৃ’ত্যু হয়েছে উপর থেকে পড়ার কারণে।
মাথার খুলি ভা’ঙ্গা, বামপাশের পায়ের হাড় ভা’ঙ্গা এবং পাঁজরের হাড়ও ভাঙা ছিল। রিপোর্টে বলা ছিল রাত ১.৩০ থেকে থেকে ভোর 8 টের মধ্যে দিব্যার মৃ’ত্যু হয়েছে। দুর্ভাগ্যক্রমে, আমি ঘটে যাওয়া সমস্ত অ’প্রীতিকর ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ছিলাম।”
জানা যায়, দিব্যা ভারতী মৃ’ত্যুতে বলিউডে প্রায় ২ কোটি টাকার ক্ষ’তি হয়েছিল। তাঁর আকষ্মিক মৃ’ত্যুতে ক্ষ’তি হয়েছিল প্রায় ৫টি ছবির। তবে দিব্যা চলে গেলও তাঁর মা-বাবার কাছে মেয়ের স্মৃ’তি আজও অমলিন।