থালাবাটি নিয়ে রাস্তায় নামবেন হোটেল-রেস্তোরাঁর মালিকেরা!

গত বছর থেকে চলতি বছর পর্যন্ত মহামা’রি ক’রো’নাভাই’রাসের কারণে ৫০ থেকে ৬০ হাজার কোটি টাকা ক্ষতি হয়েছে। এরমধ্যে সারাদেশে প্রায় ৩০ শতাংশ হোটেল-রেস্তোরাঁ বন্ধ হয়ে গেছে। অর্ধেক মালিকানা বদল হয়েছে।
এমন পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে হোটেল-রেস্তোরাঁ খুলতে চান মালিকরা। নতুবা থালাবাটি নিয়ে রাস্তায় নামবেন বলে জানিয়েছেন তারা। শনিবার পল্টন কার্যালয়ে বাংলাদেশ রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানানো হয়।
এ সময় সমিতির সভাপতি ওসমান গনি, উপদেষ্টা খন্দকার রুহুল আমিন, মহাসচিব ইম’রান হাসান, যুগ্ন মহাসচিব ফিরোজ আলম সুমন, সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ মোহাম্ম’দ আন্দালিবসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে আগের মতো স্বাভাবিকভাবে হোটেল খোলা রাখার সুযোগ, শ্রমিকদের প্রণোদনা, মালিকদের এসএমই খাত থেকে ঋণ দেওয়া, ঘর ও গ্যাস পানি বিদ্যুতের বিল মওকুফসহ বেশ কিছু দাবি জানিয়েছেন হোটেল-রেস্তোরাঁ মালিকরা।
লিখিত বক্তব্যে মহাসচিব ইম’রান হাসান বলেন, সরকার কর্তৃক ঘােষিত নির্দেশনা মেনে, স্বাস্থ্যবিধি অনুযায়ী হােটেল-রেস্তোরাঁ থেকে টেকওয়ে, পার্সেল ও অনলাইন ডেলিভা’রির মাধ্যমে আমাদের হোটেল-রেস্তোরাঁ ব্যবসাকে সীমিত রেখেছি।
এই ব্যবসা মাত্র ২ থেকে ৩ শতাংশ। ক’রো’নায় যেসব খাত ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তারমধ্যে হােটেল-রেস্তোরাঁ খাতটি বেশি ক্ষতিগ্রস্ত। অনুষ্ঠানে জানানো হয়, সকল বিভাগীয় শহর, জে’লা শহর ও উপজে’লা শহর মিলে হােটেল-রেস্তোরাঁর সংখ্যা ৬০ হাজার।
আর এসবে শ্রমিক-কর্মচারীর সংখ্যা ৩০ লাখ। সব মিলিয়ে রেস্তোরাঁ খাতে মােট নির্ভরশীল সংখ্যা প্রায় ২ কোটি। এতগুলো মানুষ এখন বিপর্যয়ের মধ্যে রয়েছে। তিনি বলেন, দেশের ১২টি সংস্থা থেকে লাইসেন্স নিয়ে আমাদের ব্যবসা পরিচালনা করতে হয়।
তবে এ খাতকে শিল্প ঘোষণা না করায় আম’রা কোনো সংস্থা থেকে সহায়তা বা সুযোগ-সুবিধা পাচ্ছি না। আম’রা শিল্প মন্ত্রণালয়, খাদ্য নাকি বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের নিয়ন্ত্রণে তাও জানা নেই।
এমন পরিস্থিতিতে ক’রো’নাকালীন ১ কেজি চালও সহায়তা পাননি কোনো মালিক বা শ্রমিক। সভাপতি ওসমান গনি বলেন, তারপরও ক’রো’নাকালীন আমাদের থেকে ১৫% ভ্যাট নেওয়ার জন্য জো’র-জুলুম চলছে। আমাদের এ ভ্যাটের হার সম্পূর্ণ অ’নৈ’তিক।