মন্ত্রীর ফোন ছি;নতাইকারীকে ধরতে ‘ঘুম হারাম’ পু’লিশের

গত রোববার রাতে ঢাকার বিজয় সরণি মোড়ে গাড়িতে বসে ফোনে কথা বলার সময় পরিকল্পনামন্ত্রীর ফোন টান দিয়ে নিয়ে যায় কেউ একজন। মঙ্গলবার এ ঘটনাটি প্রকাশ পায়।
আর ফেসবুকে বলাবলি হতে থাকে, মন্ত্রীর ফোনের যখন নিরাপত্তা নেই, তখন সাধারণ মানুষের কী অবস্থা। এদিকে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নানের মোবাইল ফোন ছি;নতাইয়ে জ’ড়ি’তকে গ্রে’প্তা’রে হন্যে হয়ে ঘুরছেন কাফরুল থা’নার ভা’রপ্রাপ্ত কর্মক’র্তা।
তার নাওয়া-খাওয়ার রুটিন নেই এখন, নেই বিশ্রাম। স’ন্দেহভাজনকে চিহ্নিত করা হয়েছে জানিয়ে পু’লিশ বলছে, সেই ব্যক্তি ঘটনাস্থল বিজয় সরণির মুখে স্থাপিত উড়োজাহাজের ভাস্কর্যের নিচে ঘুমাতেন। ঘটনার দিন থেকে তিনি সেখানে নেই।
ছি;নতাইয়ের পর থেকে মন্ত্রীর ফোনটি বন্ধ। তাই এর অবস্থান শনাক্ত করা কিছুটা কঠিন হয়ে গেছে। ছি;নতাইকারীকে ধরতে কাফরুল থা’নার ভা’রপ্রাপ্ত কর্মক’র্তা মো. সেলিমুজ্জামান হন্যে হয়ে ঘুরছেন।
তিনি বলেন, ‘ঘটনার পর থেকে বাসা তো ভালো, থা’নায়ও ঠিক মতো গেছি কি না ঠিক নাই।’ কতটা অগ্রগতি হলো? এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘অ’ভিযান চলমান। আশা করছি খুব শিগগির তাকে গ্রে’প্তা’র করা হবে।’
কী করছে পু’লিশ : ওই এলাকায় ভবঘুরেদের কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে পু’লিশ। তবে তাদের কাছ থেকে সুনির্দিষ্ট তথ্য মেলেনি। তবে ওই এলাকায় সড়কের পাশে ঘুমান, এমন একজন ফোনটি নিয়ে গেছেন, এ বিষয়ে অনেকটাই নিশ্চিত পু’লিশ।
ঢাকা মহানগর পু’লিশের মিরপুর বিভাগের উপকমিশনার আ স ম মাহতাব উদ্দিন বলেন, পরিকল্পনামন্ত্রীর মুঠোফোন ছি;নতাইয়ে একজনকে চিহ্নিত করা গেছে। ত’দ’ন্ত সা’পেক্ষে আ’সা’মির নাম প্রকাশ করা হচ্ছে না। তিনি আমাদের নজরদারিতে আছেন। খুব শিগগির তাকে গ্রে’প্তা’র করতে সক্ষম হব। তার নাম-ঠিকানাসহ বিস্তারিত তথ্য পাওয়া গেছে।’
তবে ঘটনাটি সিসিটিভি ক্যামেরায় ধ’রা পড়েনি। যেখানে ঘটনাটি ঘটেছে, সেটি ক্যামেরার আওতায় ছিল না। আর আশপাশের এলাকায় স্থাপিত সিসিটিভি ফুটেজ জ’ব্দ করে বিশ্লেষণ করেও কিছু পায়নি বাহিনীটি।
ফোন ছি;নতাইয়ে সামনে এল যে প্রসঙ্গ : গত রোববার রাতে ঢাকার বিজয় সরণি মোড়ে গাড়িতে বসে ফোনে কথা বলার সময় পরিকল্পনামন্ত্রীর ফোন টান দিয়ে নিয়ে যায় কেউ একজন। মঙ্গলবার এ ঘটনাটি প্রকাশ পায়। আর ফেসবুকে বলাবলি হতে থাকে, মন্ত্রীর ফোনের যখন নিরাপত্তা নেই, তখন সাধারণ মানুষের কী অবস্থা।
মোবাইল ফোন ছি;নতাই কোনো নতুন ঘটনা নয়। প্রায়ই এখানে সেখানে এর শিকার হয় নগরবাসী। এ নিয়ে পু’লিশের কাছে অ’ভিযোগই করে না বেশির ভাগ মানুষ। কারণ, অ’ভিযোগ করলেও পু’লিশের তৎপরতা থাকে না বললেই চলে। যদিও মাঝেমধ্যে দু-একটি ফোন উ’দ্ধা’র করে মালিকের হাতে তুলে দিয়ে তার ব্যাপক প্রচার চালায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
সাধারণের এই বক্তব্য উঠে এসেছে আইনশৃঙ্খলাবিষয়ক মন্ত্রিসভা কমিটির সভা শেষে সভাপতি মুক্তিযু’দ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হকের বক্তব্যেও। বুধবার তিনি বলেন, ‘মন্ত্রীর মোবাইল নিয়েছে বলেই… অবশ্যই প্রশ্ন জাগে যে মন্ত্রীরটা নিলে সাধারণ মানুষের অবস্থা কী?’